মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু
একটি স্বপ্নচারী ভীনদেশী আত্মা এসেছে ভুবনে
ইচ্ছের ডানায় ভর করে ভালোবেসেছে গোপনে।
সেই নীলাম্বরী প্রাণের স্পন্দন নয়নের জ্যোতি চিহ্ন
ইতিহাসে গেঁথে দিয়েছে কবি উজ্জ্বল এক স্নেহ।
জন্ম ঢাকায় এগারোতম মাসে বছরের শেষ লগ্নে
মিষ্টি মধুর চেহারা ও মুখ আহ সে কি অপূর্ব সুখ,
দারুচিনি রঙের দিনগুলো ভিন্ন প্রকৃতির সাজে –
রবি শেষে পূর্ণিমার আলোয় দেখেছি তারার মাঝে।
হাতেহাত রেখে হাজার মাইল পেরিয়ে ধরেছি জড়িয়ে
উত্তর নাহি খুঁজে প্রশ্ন নাহি বুঝে কান পেতে রই
জমিনে স্বপন করেছে বীজ বপন সে গেল কই?
এ কি দ্বাবিংশ পদ্মপাতার জল নাকি শিশির বিন্দু
রক্ত লাল গোধূলি দেহে কখনো গোলাপি সিন্ধু।
কলেজ রোড়ের পরেই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি
ন্যায় অন্যায় ছাড়ি স্যামের বাহুডোরে দেব পাড়ি।
ফাগুনের আগুন ঝরা রাতে সুর তোলে লক্ষ্মীপুর,
রিদমে রিদমে রাঙা কদমে ছিল একজোড়া নুপুর
হাজারো প্রদীপ জ্বালিয়ে পড়েছে হলুদিয়া কাপড়।
মায়াদেবীর আঁচল তলে উষ্ণতায় লেগেছে ছোঁয়া
হইতে যদি পাখি উড়ন্ত চুলের হাওয়ায় ঝড় তুলে,
মুখে মুক্তির স্বাদ অন্তরে উল্লাস বহে লোকে কহে
দত্তপুকুরে মত্ত মিতালির হাসি জলেতে ভেসে রহে।
হালকা নরম গরম তুলতুলে শরমে পাগলামি ধরি,
ফসলের মাঠ সারি সারি সুপারি গাছে নৃত্য শুরু
সাথে নারিকেল বৃক্ষ অটল তরুলতা নাহি ভীরু।
পুরানো স্মৃতি চারণ করি সেই কবিকে প্রণাম করি
তুমি আমি মিলেমিশে গেলে বাঁধা দিবে কে তাঁরে
লিপিকা রাণী সাহেবা’র মেঘনা নদী যদি না হারে।
বিদ্রঃ কল্পকাহিনীর একটি ঐতিহাসিক কবিতা।